ফ্রিল্যান্সিং কি?
ফ্রীলান্সিং হল মুক্ত পেশা। তবে আপনারা যতটা মুক্ত মনে করছেন ততটা মুক্ত নয়। অনেকেই মনে করে ফ্রিল্যান্সিং মানে হচ্ছে আমার ইচ্ছে মত যা খুশি করে অনলাইনে ইনকাম করা। মানে সেখানে আমার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে।আপনি যে কোম্পানি বা ওয়েবসাইটের হয়ে ফ্রীলান্সিং করবেন, আপনাকে অবশ্যই সেই কোম্পানি বা ওয়েবসাইটের ট্রাম এন্ড কন্ডিশন অবশ্যই মানতে হবে। অনেক সময় তো এমন আজব আজব নিয়ম থাকে যেগুলো আপনি মানতে না চাইলেও মানতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করার আগে যা জানা প্রয়োজন:
অনলাইনে অনেক ফালতু ওয়েবসাইট বা অ্যাপস আছে যেগুলো নিজেদেরকে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দাবি করে, সেগুলো থেকে দূরে থাকবেন। প্রথম থেকেই প্রফেশনাল কাজ শিখার চেষ্টা করবেন (যেমন: গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, লোগো ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি)
আবার যারা মনে করছেন ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রবেশ করার সাথে সাথেই কাজ পেয়ে যাবেন, তারা ভুল ভাবছেন। আপনি আপনার সমস্ত কাজ ছেড়ে যদি প্রথম থেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে যুক্ত হয়ে যান, সেক্ষেত্রে আপনি সবচেয়ে বড় ভুল করবেন। কারণ ফ্রীলান্সিং জগতে আপনার একটা কাজ পেতে ৬ মাস থেকে ২ বছর সময় লেগে যেতে পারে।
তবে আপনি যদি শিক্ষার্থী হন এবং পড়ালেখা ছাড়া আপনার আর কোন কাজ নেই, সেক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভালো সময় দিতে পারবেন। আর যদি আপনি কোন কাজ করেন বা চাকরি করেন, সেক্ষেত্রে বলব আপনি ওই চাকরির পাশাপাশি ফ্রিলেন্সিংকে সময় দিন।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে যেগুলো থেকে সতর্ক থাকবেন:
আপনার এলাকায় আপনি অনেক কোচিং সেন্টার পাবেন, যেগুলোতে প্রফেশনাল কিছু কাজ শিখানো হয়। তবে যিনি আপনাকে এই কাজগুলো শেখাবেন অবশ্যই আগে তার ইতিহাস জেনে নেবেন। সে জীবনে কোনদিনও ফ্রিল্যান্সিং করে এক টাকাও ইনকাম করছে কিনা বা ফ্রি-লেন্সিং জগতে তার অবস্থান কি? এই বিষয়গুলো জেনে নেবেন।
কারণ অনেক ফালতু কোচিং সেন্টার বর্তমান বাংলাদেশে আছে, যাদের থেকে আপনি কিছুই শিখতে পারবেন না। উল্টো টাকা নষ্ট হবে।
অবশ্যই আপনি যে ওয়েবসাইট বা কোম্পানি ধারা ফ্রিল্যান্সিং করবেন, তাদের নিয়ম-কানুন সঠিকভাবে মেনে চলবেন। তা না হলে তারা আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড করে দিবে।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
0 Comments